নববর্ষে বৃক্ষ তলে মেলা মিলে বেশ
বর্ষবরণে মেতে উঠে সারা বাংলাদেশ।
ভাল ভাল খেয়ে সবে ফুর্তি করে ভারী
নবীন পোশাক পরে বহু ছেলে-বুড়ো, নারী।
ঝগড়া-ঝাটি বন্ধ রাখে দুঃখ পেলেও শত
সারা বছর কাটবে বলে নববর্ষের মত।


ফুল খুকীরা গাঁথে মালা কুড়িয়ে নানা ফুল,
শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে জামাই করে নাকো ভুল।
ব্যস্ত হয় শ্বশুর-শাশুড়ী জামাই এলে ঘরে
জবাই করে পালের মোরগ দৌড়িয়ে ধরে।


মেলায় উঠে রকমারী জিনিস কাড়ি কাড়ি
কানায় কানায় ভরা থাকে পানতা ভাতের হাঁড়ি।
সারি সারি কুমোড় বসে মাটির জিনিস নিয়ে
পানতা খেতে সানকি কিনে চড়া দাম দিয়ে।


ইলিশ পানতা খেয়ে সবে পায় ভারী মজা-
খুশীতে কিনে মণ্ডা-মিঠাই আবার কেউ গজা।
মুড়ি-মুরকি,মাটির ভুরকি,খেলনা,বাঁশি চাই
শত জিনিস পেয়েও শিশুর সবুর যেন নাই।
পেঁ-পোঁ,ভ্যা-ভোঁ,ডুম-ডাম শব্দে ভরে কান
মঞ্চে ওরা করে আবার নানা অনুষ্ঠান।


এঁকে-বেঁকে উড়ে- ঘুড়ি সারা গগন জুড়ি,
নজর কাড়ে কুলা-ডুলা,চাঙারি আর ঝুঁড়ি।  
বাঙি, তরমুজ উঠে মেলায় আম উঠে পাকা,
খুশী মনে কিনে সবে খরচ করে টাকা।


বেচে-কেনা, নাচ-গান, লোকে লোকারণ্য-
আলতা, চুরি কিনে দাদু নাতনীদের জন্য।
হৈ-হুল্লুর,খোঁজা-খুঁজি হারিয়ে গেলে কেউ,
চরক গাছে চরে  ভীতু কাদে ভেউ ভেউ।
বাজীকরের নানা কথা, নানা সবার বেশ-
নববর্ষে মেতে উঠে সারা বাংলা দেশ।